পাহাড়গুলোকে পায়ের তলায় পিষে গিয়েছিলাম
আকাশকে ছুঁয়ে দেখবো বলে
ন্যায় অন্যায় আর নৈতিকতার জ্ঞান ভুলেছিলাম
চাঁদ সূর্যকে কাছে পাবো বলে; আশা ছিল
রাতের তারাগুলো সব ক্রীতদাস হবে অবলীলায়
আমি এশিয়া থেকে অ্যান্ট্যার্টিকা কতইনা গোলা-বারুদ খোয়ালাম
এই অধরাকে ধরার বাসনায়
তবুও তুমি রইলে কেবলই অধরা; আলো নয় যেন শুধুই আলেয়া।
আমার এই যে দাম্ভিকতায় ধসে গেল কত সমৃদ্ধ জনপদ;
নিঃশেষিত হলো শান্তির নিবাস
ইরাক লেবানন ফিলিস্তিনের শিশুরা আজ ধূলায় লুটায়
আমারই কামানের গোলায় বিধস্ত ইউক্রেনের জাদুঘর
আমি এক অবিনাশী সত্ত্বা; মেতে থাকি ধ্বংসের নেশায়,
শত কোটি মানুষের রক্তেও মেটেনা আমার পিয়াস।
জানি অহমিকার ফানুসেরা ফুরোতে ফুরোতে
একদিন নিঃশেষ হয়ে হয়ত ঠিকই
নেমে আসবে এ মাটির ধরায়;
হয়ত থেমে যাবে আমার এ শখের রথ
জানি আমার এ মরণ খেলায় নীরবে ঝরে যাবে
কতনা জীবনের স্বপ্ন সাধ,
তবুও হবেনা আমার বোধোদয়
হবে না যুক্তির শেষ, শক্তির অনিবার্যতায়।
স্বপ্ন দেখি যুদ্ধ করে একদিন আকাশটাকে বানাবো মাটির সমান;
তবুও কী মিটবে এ ধ্বংসের নেশা, শেষ কী হবে এই উন্মত্ততার
যদিও এসব প্রশ্নের কোন উত্তর জানা নেই আমার ?
মেরুল বাড্ডা, ঢাকা: ৪ জুন-২৪ ইং