হাতলযুক্ত কাঠের চেয়ারটির সাথে নিতম্বের দহরম-মহরম
বসামাত্রই শক্ত কাঠ যেন চুপসে যাওয়া হাওয়াই মিঠাই
ফুলানো পাউরুটির মত গদি, বায়ু দূষনেও চোখ টিপাটিপি
এ এক দারুণ সাংঘাতিক মিষ্টি বন্ধন।
হঠাৎ হাতল ভেঙে যাওয়ায় চেয়ারটি এখন গদিঘরে
বিকেলেই অস্ত্রোপচার হবে, চেয়ারটির ফুসফুসে লাল সংকেত
খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলাম, গদি ঘরে চেয়ারটি নেই
জিজ্ঞেস করতেই একজন যেন আকাশ থেকে পড়লো
আপনি জানেন না? না, কিন্তু কি হয়েছে?
অত:পর ফিসফিস কণ্ঠে, অস্ত্রোপচার হয়নি; চেয়ারটি এখন মর্গে
ছুঁটে গিয়ে মর্গে, অত:পর ডোম জানালে
পোস্টমর্টেম হবেনা, নিতম্বের পোস্টমর্টেম না হলে
চিকিৎসক চেয়ারের ফাইনাল প্রতিবেদন দেবেন কি করে?
অগত্যা আমাকে শোয়ানো হল মর্গের টেবিলে
নিতম্ব ছাড়াই চলছি, করাতকলে চেরাই করা কাঠের তক্তার মত
উপুড় হয়ে শুয়ে থাকায় চকচকে ধারালো চাকু, ছুরি দেখা হয়নি বলে
সে আফসোস থেকেই গেছে।
তবে এখন আর চেয়ারে বসতে হয়না
দাঁড়িয়েই কাটছে সময়, ঝুঁকে আছি সামনে
প্রতিবাদহীন নির্লজ্জযুবক।
শৈশব রাজু
প্রতিনিধি, প্রথম আলো
দিনাজপুর।