বাজনাহার স্টেশনে আছি
শৈশব রাজু
সীমান্তের চোখ ফাঁকি দিয়েছি ২০৬ খানা তারকাটার বেড়া টপকে ঢুকে পড়েছি বাজনাহার স্টেশনে। প্রধান ফটকে বিশেষ উর্দিপরা জনাকয়েক অভ্যর্থনা জানালো আমায়- রেললাইনের বক্রতা মাড়িয়ে আসা এই আমি রাসেল ভাইপার। আমকে দেখে স্বভাবজাত ভঙ্গিতে শুকনো বাঁশের লাঠি হাতে তেড়ে আসে ঝুনু ফকির।
অথচ কোনদিনও তার সাথে আমার শত্রুতা ছিল না। বুঝতে পারছিলাম কিছু সময় পরে আমার মৃত্যু হবে, যদিও চশমা পরিহিত একজনকে বলতে শুনলাম আরে বাদ তো, ওর নাম চন্দ্রপড়া, ওকে আমি চিনি ওকে মেরোনা, বরং মনসার ঘটে গিয়ে সাধারণ ডায়রি করে রাখো। থানায় সাধারণ ডায়রি করার কথা শুনে মুচকি হাসলো আমান পাগলা ভদ্রলোকের কথায় যুক্তি হয়তো আছে, কিন্তু পাগলার প্রশ্ন হচ্ছে সাপটি আসলো কিভাবে, এ সাপ ২০৬ খানা তারকাটা ভেদ করে এসেছে এ কোন সহজ ব্যাপার নয় হে- উদ্বিগ্নতা আর অস্থিরতায় দাঁড়িতে হাত বুলায় পাগলা স্বীয় পায়ে স্বীয় কুড়ালের আঘাতে ফিনকি দিয়ে বের হওয়া রক্তে ঘোর কাটে তার আরও আরও বাড়ে উদ্বিগ্নতা- পর্দায় আটকে থাকা চোখ দেখে তুফানের যৌনতা।
এতসব আলোচনা, উৎসুক জনতার ভীড়; অদূরে চোখ আটকালো আমার প্ল্যাটফর্মের শেষ সীমানা হতে ঠাকুরঝির মত ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে ‘বেদের মেয়ে জোসনা।’ তারপিছে হাঁটছে জোসনার দাদী- রাসেল ভাইপার এবার আমি চুপসে যেতে লাগলাম হাওয়াই মিঠাইয়ের মত জোসনার দাদির হুঙ্কারে ধড়ে আসে প্রাণ, শক্তি পেয়েছি মনে কতিপয়ের মৃত্যুতে কি আসে যায়, শুধাই জনে জনে।
শৈশব রাজু প্রতিনিধি, প্রথম আলো দিনাজপুর।