Homeপ্রবন্ধবাংলাদেশ কেন সফট পাওয়ারে দূর্বল:

বাংলাদেশ কেন সফট পাওয়ারে দূর্বল:

বাংলাদেশ কেন সফট পাওয়ারে দূর্বল:
সাংস্কৃতির শুধু সমসাময়িক সাহিত্যে দুই বাংলার প্রভাব- প্রতিপত্তি নিয়ে নিয়ে আলোচনা তেন নাই। এই প্রবন্ধে আমি সে বিষয়টি নিয়ে একটু আলোকপাত করতে চাই। বাংলার আধুনিক তথা ধরনার আতুর ঘর কোলকাতা তথা পশ্চিম বাংলা সেটা তো আমরা জানি মানি।

বাংলার সাংস্কৃতিক রাজধানীও দীর্ঘ দিন ধরে কোলকাতা তাতেও কোন দ্বিমত ছিল না। তবে সেই কেন্দ্রে পূর্ব বাংলার ভূমি পুত্রদের অবদানও প্রায় সমানে সনান। রাজধানী ঢাকায় যে বাংলাভাষীদের একমাত্র জাতিরাষ্ট্রের রাজধানী হওয়ার সুবাদে বাংলা সাহিত্যেরও ভবিষ্যৎ রাজধানী হবে- সে কথাও সমরেশ- শীর্ষেন্দু কয়েক দশক আগেই স্পষ্ট বলে গেছেন। এখন অমর একুশে বইমেলা বাঙ্গালির প্রাণের মেলা। সেটা বিশ্বের সব বাঙ্গালিরই।

হ্যা, বাঙ্গালীর রাজনৈতিক রাজধানী পরিবর্তন যেমন সুনিদিষ্ট দিন তারিখে হয়েছে। শিল্প- সাহিত্যে রাজধানীর স্থান পরিবর্তনে সময় নেয়। সবার মনন থেকে হয়ে উঠতে হয়। আমর মনে হয় বাংলাদেশ তথা ঢাকার সেই কোমলীয় ক্ষমতা অধিকারের সময় হয়ে উঠেছে৷ বাঙ্গালীর অর্থনৈতিক উন্নতি- অবনতির প্রতিনিধিত্বই শুধু ঢাকার নয়। সাহিত্য- সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের স্থানও ঢাকামুখী। তবে অবশ্যই কোলকাতার উত্তরাধিকার স্বীকার করেই। আর সেজন্য আমাদের সেই দায়- দায়িত্ব একটু একটু করে নিতে হবে বৈকি।

এখন সাহিত্য ক্ষেত্রেআমাদের তথা ঢাকার বিশ্ব বাঙ্গালীর সেই দায়িত্ব নেয়ার সময় এসেছে। বাংলা একাডেমীর পুরষ্কার যখন নার্কিন প্রনাসী শামীম আজাদ পায়। তখন বুঝতেই হবে বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষায় সাহিত্য- সংস্কৃতি চর্চাকারীদের দায় নেয়ার সময় হয়েছে ঢাকার। সাহিত্যের ক্ষেত্রে ঢাকা এখন শুধু পূর্ববাংলার কেন্দ্র নয়, বিশ্বব্যপী বাংলা সাহিত্যের কেন্দ্রও হয়ে উঠছে। এক্ষত্রে ঢাকার দায়িতৃব নেয়ারও সময় হয়ে এসেছে। বাঙ্গালীকে দাবায় রাখতে না পারার মন্ত্রে যে রাজনৈতিক আর্থ-সামাজিক সংগ্রহ এগিয়ে যাচ্ছে। তা ভৌত উন্নতির সাথে শিল্প- সাহিত্য- সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব এই কেন্দ্রেরই। এই বিবেচনায় শিল্প- সাহিত্যের ক্ষেত্রে আর পূর্ববঙ্গের তথা বাংলাদেশের ভৌগলিক পরিসীনায় বাঙ্গালীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ঢাকার দায়িত্ব সীমিত নয়।

বিশ্বের যেখানে বসে যেই বাংলা সাহিত্য- সংস্কৃতির চর্চা করছে তার দায়ও এখন ঢাকার। বাংলা সাহিত্যের অবদানের জন্য পুরষ্কার এখন শুধু রাষ্রীয় ভৌগলিক পরিসীমার মধ্যে চর্চাকারীদের দিয়ে দায় এড়ানো যাবে না। কেন্দ্রের দায় বিশ্বব্যপী বাংলা ভাষার চর্চাকারী সবার। সাহস করে সেই উদার্য দেখানোর সনয় হয়েছে ঢাকার।

এখন পৃথিবীর যেখানে বসেই বাংলা সাহিত্যের চর্চা যেই করুক না কেন, কেন্দ্র হিসেবেস্বীকৃতি দিতে বা দায় নিতে হবে ঢাকার। সেজন্য নিউইয়ক, লন্ডনে বসে সাহিত্য চর্চাকারীদেরই শুধু নয়। আগরতলা, কোলকাতা,সিলং, পাটনা, ভুবনেশ্বরে বসেও যারা বাংলার ভাষা- সাহিত্যের চর্চা করছে তাদের দায়ও এখন ঢাকার। ঢাকার এ ঐতিহাসিক দায় স্বীকার করে, কাঁধে নিয়েই বাংলা ভাষা- সাহিত্যের প্রসারে সামনে থেকে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠবে বাংলা ভাষা সাহিত্যের ভাষারাষ্ট্রের বাইরেও সফট পাওয়ারের এক রাষ্ট্রাতীত অবয়ব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

এই লেখকের আরো লেখা

এই ক্যাটাগরির সর্বাধিক পঠিত

সাম্প্রতিক মন্তব্য