একটি আনন্দের কবিতা লিখবো বলে,
রাত জেগে কাটাই।
কিন্তু আমার শব্দেরা অদ্ভুত বিষন্ন ;
তাদের ফিরে যেতে বলেছি কতবার,
নাছোড়বান্দা তারা ঘিরে নাচে আমার চারপাশে।
খুব রেগে বিষন্ন শব্দদের দেখি করুণ দৃষ্টিতে,
বলি, অন্য কোথাও চলে যাও।
মিনতি রাখো হে অসুন্দর,
রুক্ষ, বিষাদ, বিষাক্ত শব্দেরা,
ধুসর কোন গ্রহে চলে যাও,
রঙহীন মৃত মাছের চোখে যাও।
চরম শূন্যতায় যাও।
জীবন্ত হৃদয় থেকে দূরে, বহুদূরে চলে যাও।
শোনে না আমার কথা ;
দিন চলে যায় পাখির ডানায়,
সেখানে নতুন নতুন অতিথি বিষন্ন শব্দের আগমন
ভদ্রভাবে বলেছি, এবার অন্যত্র যাও,
আমার বাড়ি খালি করো।
আমি আকাশ আর সাগরের নীল থেকে,
ফুটন্ত পদ্ম থেকে,
রংধনু থেকে,
আনন্দের শব্দমালা আনবো।
তারপর,
কথার মালা গেঁথে খোঁপায় পরবো,
খানিক বেশী হলে হাতেও জড়াবো।
আমার স্বপ্নেরা সেইসব আনন্দমাখা শব্দ দিয়ে সাজবে।
চারদিকে রঙিন শব্দদের মাখামাখি উৎসব।
ও চির বিষন্ন শব্দেরা, এবার তো বিদায় নাও।
বৃষ্টি নেই আমার উঠোনে,
এক টুকরো আকাশ নেই আমার জানালায়,
অমাবস্যার জ্বলেজ্বলে নক্ষত্রগুলো নিয়নে মৃত,
সপ্তর্ষির একটি তারা একদম খুঁজে পাই না!!
শ্রাবণ পূর্ণিমায় চন্দ্রাহত মেঘদল কোথায়?
বাঁকা চাঁদ কালো মেঘ ছিঁড়েফুঁড়ে খানিক দাঁড়ায় না!
এ কেমন রাত, চাঁদ, নক্ষত্রমালা?
এ কেমন আগুন?
দহন করে যায় আমাদের হৃদয়?
তপ্ত রোদে পুড়ে ছারখার রক্তজবার নৈবেদ্য?
পুড়ে যায়, ঝরে যায়, ক্ষয়ে যায়,
মরে যায় আনন্দের শব্দ???