‘মা’
মাঝেমধ্যে খুব কষ্ট হয়,
আমি কেন কবিতা লিখতে পারি না ?
যদি পারতাম তাহলে একুশের পদ্য লিখতাম ।
লিখতাম এই বাংলায় মায়ের ভাষার জন্য
একদা একদল বখাটে ছেলের উৎশৃঙ্খল মিছিল।
বন্দুকের সামনে দাড়িঁয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান
তেড়ে আসা বুলেটে ক্ষত বিক্ষত
দুর্ধর্ষ বোকা ছেলেটির বুক!
রাজপথে রক্তের আলপনা এঁকে যে শেষ শব্দটি উচ্চারণ করেছিল
“মা”…
গভীর রাতে নির্ঘুম আমি কেঁপে উঠি;
কেবল একটি কবিতা লিখবার আকুতি!
জ্বলজ্বলে বিষাদ নক্ষত্রের কাছে,
অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকারের কাছে,
কুয়াশায় আবছা ল্যাম্পপোষ্টের কাছে
নির্জন রাস্তায় ভুতুড়ে লম্বা ছায়া ফেলে
একটানা হেঁটে যাওয়া জীর্ণ লোকটার কাছে,
প্রতি প্রহরে আঁতকে দেয়া গির্জার ঘন্টার কাছে,
হাঁটুমুড়ে মিনতি করি–
একটি কবিতা লিখতে চাই!
একটি কবিতা লিখতে চাই!
আমি শুধু একটি মাত্র কবিতা লিখতে চাই…
যন্ত্রনাকাতর মহাকাল আমাকে রক্তাক্ত রক্তাভ
কবিতা দিয়েছে–
বখাটে পাগল উৎশৃঙ্খল দামাল ছেলেদের
বুলেট-ঝাঁঝরা বুকের রক্ত প্লাবন
আজ একখানাই কবিতা দিয়েছে—
“মা”…