-
আসবে কী তুমি?
মো: শাহ জালাল
নীল জোছনার বাঁধ ভাঙা হাসি আমার উঠানে গড়াগড়ি করে, রাতের নির্জনতার ঝরনা অজস্র জলরাশি সমেত হামাগুড়ি দিচ্ছে আমারই বাতায়ন পাশে।
কোথা থেকে আসা একরাশ মেঘের চিতকারে জেগে উঠি , জোনাকির আধ: আলোয় নিভু নিভু তোমার অবয়ব,
মনের অজান্তেই দুফোঁটা অশ্রু টলটলে খেলে গেলো।
কোন এক মাঘের সন্ধ্যায় হিম হাওয়ায় উড়তে থাক তুমি,
আমার অস্তিত্ব বরফাচ্ছাদিত,
তুমি ময় আমি ও আমার আত্মা আমাদের মতোই।
বড়ই রহস্যময় ছিল তোমার চাহনি,
তোমার চোখ, তোমার মুখ আর তুমি।
আমি ভেবেই যাচ্ছিলাম, ভাবনা যেন আমারই এ যেন আমি,
যানি না , হয়তো- বা সেটা তুমি না হয় আমার কল্পনায় তুমি।
দিন গেল, মাস বছর পেরোল আজও তোমাকেই খুঁজে ফিরি আমি, নয় তো বা এই আমিই।
ফাগুনের প্রথম আলো যখন হঠাৎ ঝলকানি দিচ্ছিলো
ভেবেছিলাম তুমি সেই আলোর উঁকি মারা ছায়া।
তবে আমি ভুল ছিলাম তোমাকে শিমূল ভেবে,
আসলে তুমি ফাগুন নও শিমূল নও, নও মাঘের মায়াবী মায়া।
আজ-ও হেঁটেই চলেছি পথ হারা পথে, মাঠ হারা মাঠে
তোমারই খোঁজে।
আসবে কী তুমি এ মনে এ রাতে এখানে এ নিরব আলোতে?
তোমার কাছে মিনতি, এখন না এলেও
এসো কোন এক তপ্ত দুপুরে
পুড়ে যাওয়া খোলা মাঠে, তৃষ্ণাক্ত পথিকের পথে।
তোমকে পেয়ে ঝলসানো ঘাসফুলটি আবারও জেগে উঠবে,
আসবে কী তুমি এখানে এ নিরব প্রকৃতির মাঝে।
চেয়ে দেখ আজ আকাশে অনেক তারা,
জোছনাকুমারী ও সেখানে,
চাঁদের আলোয় কবিতা হয়ে এসো আমার হৃদয়পটে।
আসবে কী তুমি এখানে এ নিরব আলোর মাঝে?
পাখিরা তোমারই অপেক্ষায়, প্রহর গুনে ক্লান্ত
ডুমুরেরফুলে ডুবু সূর্যের আলো তোমারি অপেক্ষায়
এসো এখানে এ আলোতে,
নিরব প্রকৃতির মাঝে এ-ই খানে,
নীরবে আমার মনের সুগভীর দেয়ালে।